গর্ভবতী হওয়ার পর আপনি যদি সালোয়ার পড়তে চান তাহলে গর্ভাবস্থায় সালোয়ার পড়ার নিয়ম গুলোর বিষয়ে জেনে নিতে পারেন।
সুমাইয়া গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে খুব স্বাভাবিকভাবেই তার আগের পোশাক পরছিলেন। তবে কিছুদিন পর তিনি অনুভব করলেন যে, পেটের চাপ বাড়ছে, আগের সালোয়ার গুলো আরামদায়ক লাগছে না।
বাজারে যাওয়ার সময়ও হাঁটতে কষ্ট হচ্ছিল। তখন তিনি বুঝলেন, গর্ভাবস্থায় পোশাক বাছাই করা শুধু স্টাইলের বিষয় নয়, এটি আরাম ও স্বাস্থ্যের সঙ্গেও জড়িত।
আপনি ও যদি গর্ভাবস্থার সালোয়ার পড়তে চান তাহলে সালোয়ার পড়ার নিয়ম কানুনের বিষয়ে জেনে নিন।
তাছাড়া গর্ভবতী হলে করণীয় হিসেবে এইসব জেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ ও বটে।
গর্ভাবস্থায় সালোয়ার পড়ার নিয়ম:
ঢিলেঢালা ও আরামদায়ক কাপড় বেছে নিন
গর্ভাবস্থায় শরীরে নানা পরিবর্তন আসে, তাই শক্ত ও আঁটসাঁট সালোয়ার পরা উচিত নয়। নরম ও প্রসারিত (stretchable) ফেব্রিকের সালোয়ার বেছে নিন যা সহজেই ফিটিং অ্যাডজাস্ট করতে পারে।
ইলাস্টিক বা ড্রস্ট্রিং সালোয়ার পরুন
সাধারণ ফিতার সালোয়ার বা খুব বেশি শক্ত ইলাস্টিক পরলে পেটে চাপ পড়তে পারে, যা অস্বস্তিকর হতে পারে। তাই নরম ইলাস্টিক বা অ্যাডজাস্টেবল ড্রস্ট্রিং সালোয়ার পরা ভালো। এটি পেটের আকারের সাথে মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
বেলি-সাপোর্ট সালোয়ার ব্যবহার করুন
বর্তমানে বাজারে এমন কিছু মেটারনিটি সালোয়ার পাওয়া যায় যা পেটের নিচে সাপোর্ট দেয় এবং আরামদায়কভাবে ফিট হয়। বিশেষত, যাদের পিঠ বা কোমরে ব্যথার সমস্যা হয়, তাদের জন্য এটি বেশ উপকারী।
হালকা ও শ্বাস নিতে পারে এমন ফেব্রিক বেছে নিন
গরমকালে সুতি কাপড় এবং শীতে সফট উল বা উষ্ণ ফেব্রিক বেছে নিন। সিন্থেটিক কাপড় পরিহার করুন, কারণ এটি গরম লাগাতে পারে এবং অস্বস্তির কারণ হতে পারে।
দৈনন্দিন জীবনের উপযোগী ডিজাইন বেছে নিন
যেহেতু গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ওজনের কারণে হাঁটা ও বসার সময় কিছুটা কষ্ট হতে পারে, তাই এমন সালোয়ার পরা উচিত যা হাঁটা ও চলাফেরায় বাধা সৃষ্টি না করে।

গর্ভাবস্থায় সালোয়ার পড়ার উপকারিতা
- শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে।
- অতিরিক্ত চাপ পড়া থেকে রক্ষা করে।
- আরামদায়কভাবে চলাফেরা করতে সাহায্য করে।
- গরম বা অস্বস্তির অনুভূতি কমায়।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)
গর্ভাবস্থায় কি সব ধরনের সালোয়ার পরা নিরাপদ?
না, খুব টাইট বা শক্ত ফিতার সালোয়ার এড়ানো উচিত, কারণ এটি পেটের উপর চাপ ফেলতে পারে।
গর্ভাবস্থার জন্য আলাদা সালোয়ার কিনতে হবে?
না, তবে আরামদায়ক ও প্রসারিত কাপড়ের সালোয়ার বেছে নেওয়া ভালো। বিশেষ করে, অ্যাডজাস্টেবল ইলাস্টিক বা ড্রস্ট্রিং সালোয়ার হলে বেশি সুবিধা হবে।
কোন ধরনের ফেব্রিক সবচেয়ে ভালো?
সুতি বা লিনেনের মতো নরম ও হালকা ফেব্রিক সবচেয়ে ভালো, কারণ এটি আরাম দেয় এবং সহজে বাতাস চলাচল করতে দেয়।
গর্ভাবস্থার কোন সময় থেকে আলাদা সালোয়ার পরা উচিত?
সাধারণত দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার (৪-৬ মাস) থেকে পেটের আকার পরিবর্তিত হতে শুরু করে, তখন আলাদা সালোয়ার পরা দরকার হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় আরামদায়ক পোশাক পরা শুধু ফ্যাশনের বিষয় নয়, এটি মায়ের আরাম ও সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিজের জন্য গর্ভাবস্থায় প্রয়োজনীয় জিনিস হিসেবে সঠিক সালোয়ার বেছে নিন এবং গর্ভাবস্থাকে আরও স্বস্তিদায়ক করে তুলুন!