যোনিতে চুলকানি প্রতিটি মেয়ের কম বেশী সাধারণ সমস্যা, অনেকেই এই সমস্যার সময় লজ্জায় কাউকে বলে না। তাই যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে কিভাবে এর থেকে স্বস্তি পাওয়া যাবে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
গর্ভাবস্থায় শরীরে নানা রকম পরিবর্তন ঘটে, যার মধ্যে একটি সাধারণ অথচ অস্বস্তিকর সমস্যা হলো যোনিতে চুলকানি। অনেক নারীই এই সময় চুলকানির সমস্যায় ভোগেন, কিন্তু লজ্জা বা অজ্ঞতার কারণে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন না। এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো যোনিতে চুলকানি কী, গর্ভাবস্থায় যোনিতে চুলকানি কেন হয়, এবং যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায় ও সমাধান।
যোনিতে চুলকানি কী?
যোনিতে চুলকানি হলো এক ধরনের অস্বস্তি যা সাধারণত চুলকানো বা জ্বালাভাবের মাধ্যমে অনুভূত হয়। এটি শরীরের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হলেও গর্ভাবস্থার সময় এই সমস্যাটি বৃদ্ধি পায় হরমোন ও শারীরিক পরিবর্তনের কারণে।

যোনিতে চুলকানি কেন হয়?
যোনিতে চুলকানি একটি সাধারণ কিন্তু অস্বস্তিকর সমস্যা যা নারীদের মধ্যে নানা কারণে হতে পারে। সাধারণত এই সমস্যা হয় সংক্রমণ, অ্যালার্জি, বা হরমোনের পরিবর্তনের কারণে।
ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস, ইয়েস্ট ইনফেকশন (Candida), কিংবা যৌনবাহিত রোগ (যেমন ট্রাইকোমোনিয়াসিস) যোনি চুলকানির প্রধান কারণ হতে পারে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায়, মাসিকের আগে-পরে হরমোনের তারতম্য বা অতিরিক্ত টাইট পোশাক পরার কারণেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুযায়ী, প্রতি ৩ জন নারীর মধ্যে ১ জন জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে যোনি চুলকানিতে ভোগেন। ত্বকে ব্যবহৃত প্রসাধনী, সাবান কিংবা সুগন্ধিযুক্ত প্যাডও অনেক সময় অ্যালার্জির মাধ্যমে চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে।
সঠিক স্বাস্থ্যবিধি না মানা, ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক সেবন এবং ডায়াবেটিসও এ সমস্যার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই কারণ বুঝে উপযুক্ত চিকিৎসা নেওয়াই সবচেয়ে জরুরি।
যোনি চুলকানির লক্ষণ:
যোনি চুলকানি একটি অস্বস্তিকর সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিলে এটি যোনি চুলকানির ইঙ্গিত হতে পারে:
- যোনি ও তার চারপাশে চুলকানি বা জ্বালাভাব
- সাদা, হলুদ বা ঘন স্রাব
- স্রাবে দুর্গন্ধ বা টক গন্ধ
- লালচে ত্বক বা ফুসকুড়ি
- মূত্রত্যাগের সময় জ্বালাপোড়া
- যৌন মিলনের সময় ব্যথা বা অস্বস্তি
- যোনিতে শুকনোভাব বা টানটান লাগা
এই লক্ষণগুলো কয়েক দিন স্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। (রেফারেন্স: Mayo Clinic, NHS UK)। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে এই সমস্যা সহজে এড়ানো যায়।
🤰 গর্ভাবস্থায় যোনিতে চুলকানি: কতটা সাধারণ?
গর্ভাবস্থায় প্রতি ১০ জন নারীর মধ্যে প্রায় ৬-৭ জন কোনো না কোনো সময়ে যোনি অঞ্চলে চুলকানিতে ভোগেন। এটি হালকা থেকে মাঝারি কিংবা মাঝে মাঝে তীব্র চুলকানি হতে পারে।
🔬 গর্ভাবস্থায় যোনিতে চুলকানি কেন হয়?
1. হরমোনাল পরিবর্তন
গর্ভাবস্থায় ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা যোনি অঞ্চলে সংবেদনশীলতা বাড়ায় এবং চুলকানির সৃষ্টি করতে পারে।
2. ইয়েস্ট ইনফেকশন (Candida)
এই সময় যোনির পিএইচ ভারসাম্য পরিবর্তিত হয়, যার ফলে ইয়েস্ট ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। এটি সাধারণত চুলকানি, সাদা চর্বিযুক্ত স্রাব এবং জ্বালাভাবের কারণ হয়।
3. ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস
এটি একটি সাধারণ ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ, যা যোনি অঞ্চলে খারাপ গন্ধযুক্ত স্রাব ও চুলকানির কারণ হয়।
4. ডিহাইড্রেশন ও শুষ্কতা
প্রচুর পানি না খাওয়া ও যোনি অঞ্চলে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা না থাকলেও চুলকানির সৃষ্টি হয়।
5. অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া
কোনো ধরনের সাবান, প্যান্টিলাইনার, বা অন্তর্বাসে ব্যবহৃত রাসায়নিকের প্রতিক্রিয়ায় যোনি অঞ্চলে অ্যালার্জি হয়ে চুলকানি হতে পারে।
সুমি, একজন ২৭ বছর বয়সী গৃহবধূ, প্রথমবার গর্ভবতী হন। গর্ভাবস্থার ২০তম সপ্তাহে তিনি যোনিতে তীব্র চুলকানি অনুভব করেন। প্রথমে তিনি বিষয়টি উপেক্ষা করেন, কিন্তু কয়েকদিন পরে চুলকানি তীব্র আকার ধারণ করে এবং একটি সাদা স্রাবও দেখা দেয়।
সুমি তখন তার গাইনী ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরীক্ষা করে জানা যায়, তিনি ইয়েস্ট ইনফেকশনে আক্রান্ত। ডাক্তার তাকে নির্দিষ্ট অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম ব্যবহার করতে বলেন ও কিছু ঘরোয়া পদ্ধতির পরামর্শ দেন। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই তার সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে।
সুমি বলেন,
“আমি বুঝতেই পারিনি এটা এত গুরুতর হতে পারে। এখন বুঝি, গর্ভাবস্থায় নিজের শরীরের যেকোনো পরিবর্তনকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা কতটা জরুরি।”
গর্ভাবস্থায় যোনিতে চুলকানি হলে করণীয়:
গর্ভাবস্থায় যোনিতে চুলকানি হলে প্রথমে ঘাবড়ে না গিয়ে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি। প্রতিদিন কুসুম গরম পানিতে যোনি পরিষ্কার করুন, তবে সাবান বা সুগন্ধযুক্ত পণ্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। হালকা সুতির অন্তর্বাস পরুন ও তা প্রতিদিন বদলান।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং চিনিযুক্ত খাবার কম খান। যদি চুলকানির সঙ্গে স্রাবের রঙ, গন্ধ বা পরিমাণে অস্বাভাবিকতা দেখা যায়, তবে দেরি না করে গাইনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিজে থেকে কোনো ওষুধ ব্যবহার করবেন না, কারণ গর্ভাবস্থায় অনেক ওষুধ নিরাপদ নয়। সচেতনতা ও দ্রুত চিকিৎসাই এ অবস্থায় সবচেয়ে কার্যকর সমাধান।
গর্ভাবস্থায় যোনিতে চুলকানি খুব বিরক্তিকর তবে যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে এর থেকে কিছু টা রেহায় পাওয়া যায়।
যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায়:
ঠাণ্ডা সেঁক – স্বস্তির সহজ উপায়
যোনি অঞ্চলে চুলকানি কমাতে ঠাণ্ডা সেঁক অত্যন্ত কার্যকর। একটি পরিষ্কার মোটা সুতির কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ মুড়ে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে আলতো করে চেপে ধরুন। দিনে ৫ থেকে ১০ মিনিট এইভাবে সেঁক দিন। প্রয়োজনে এই পদ্ধতিটি দিনে একাধিকবার ব্যবহার করা যেতে পারে, যতক্ষণ না আরাম পাওয়া যায়।
নরম সুতির অন্তর্বাস – আরামের পোশাক
এই সময়ে অন্তর্বাস বেছে নেওয়াও খুব গুরুত্বপূর্ণ। পাতলা, ঢিলেঢালা সুতির অন্তর্বাস ব্যবহার করলে যোনি অঞ্চলে বাতাস চলাচল ঠিক থাকে ও চুলকানি কমে। আঁটসাঁট প্যান্ট বা সিনথেটিক কাপড়ের অন্তর্বাস পরা এড়িয়ে চলাই সবচেয়ে ভালো।
চুলকানি কমাতে বিকল্প পদ্ধতি – ক্ষতি নয়, স্বস্তি দিন
চুলকানি উঠলে সঙ্গে সঙ্গে চুলকাতে ইচ্ছা হয়, কিন্তু সেটাই সবচেয়ে বড় ভুল। চুলকালে অল্পক্ষণ আরাম মিললেও ত্বকে ক্ষতি হয় এবং ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই চুলকানির সময় সরাসরি চুলকানোর বদলে আঙুলের ত্বক দিয়ে আক্রান্ত স্থান হালকাভাবে চাপ দিয়ে আরাম নিন। নখ সবসময় ছোট করে কাটা ও পরিষ্কার রাখা অবশ্যই প্রয়োজন।

মেনথল বা ক্যালামাইনযুক্ত ক্রিম – ঠাণ্ডা ও আরামদায়ক অনুভূতি
যোনি অঞ্চলের বাইরের অংশে মেনথল বা ক্যালামাইনযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করলে তা দ্রুত আরাম দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় এই ধরনের ক্রিম নিরাপদ এবং প্রাকৃতিকভাবে শীতল অনুভূতি এনে দেয়।
বেকিং সোডার স্নান – প্রাকৃতিক সমাধান
বেকিং সোডা একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে এবং যোনির জ্বালাভাব ও চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে। একটি বড় পাত্রে কুসুম গরম পানি নিয়ে তাতে ১-২ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। এবার পাত্রটিতে এমনভাবে বসুন যাতে পানি যোনি অঞ্চলে ভালোভাবে পৌঁছায়। প্রতিদিন দু’বার ১০ মিনিট এইভাবে বসে থাকলে দ্রুত উপকার পাবেন।
খাদ্যাভ্যাসে সচেতনতা
সঠিক খাদ্যাভ্যাস যোনির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে:
- দই ও প্রোবায়োটিক খাবার খান
- চিনি ও প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলুন
- প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন
যোনি পরিষ্কার রাখার নিয়ম
- পারফিউমযুক্ত সাবান বা স্প্রে পরিহার করুন
- প্রতিবার টয়লেট ব্যবহারের পরে সামনে থেকে পিছনে মুছুন
- প্রতিদিন যোনি অঞ্চল পরিষ্কার রাখুন, তবে অতিরিক্ত ধোয়া এড়িয়ে চলুন
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?
যদি নিচের যেকোনো উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন:
- চুলকানির সাথে পুঁজযুক্ত স্রাব
- খারাপ গন্ধ
- যোনির আশেপাশে লালচে ফুসকুড়ি
- যোনি অঞ্চলে ফাটা বা ক্ষত
গর্ভাবস্থায় যোনিতে চুলকানি বা অস্বাভাবিক স্রাব অনেক নারীরই হয় এটা লজ্জার কিছু নয়, বরং একেবারেই স্বাভাবিক ও পরিচিত সমস্যা। কিন্তু সব চুলকানি এক রকম নয়। অনেক সময় এগুলোর পেছনে থাকতে পারে মারাত্মক কোনো ইনফেকশন।
ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস:
গর্ভাবস্থায় হরমোনের তারতম্যে যোনির ভেতরের জীবাণুগুলোর ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেলে এই রোগ দেখা দেয়। এর লক্ষণ
- পাতলা ও ধূসর স্রাব
- পচা মাছের মতো দুর্গন্ধ (বিশেষ করে সহবাসের পর)
- হালকা চুলকানি বা জ্বালাপোড়া

এই রোগটি যৌনবাহিত না হলেও যৌন সম্পর্ক থাকলে ঝুঁকি বাড়ে। সবচেয়ে ভয়ানক দিক হলো গর্ভাবস্থায় এই ইনফেকশন হলে অকাল প্রসব কিংবা কম ওজনের শিশু জন্ম নিতে পারে। তাই অবহেলা একদমই নয়!
করণীয়:
ডাক্তার সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করেন কখনো মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট, কখনো যোনিতে ব্যবহারের ক্রিম বা জেল। নিজে থেকে কিছু ব্যবহার করা ঠিক নয়, কারণ সব ওষুধ গর্ভাবস্থায় নিরাপদ না।
ঈস্ট ইনফেকশন (ফাঙ্গাল ইনফেকশন):
অনেকেই এটিকে চেনেন “সাদা দইয়ের মতো স্রাব” নামে। গর্ভাবস্থায় এটি প্রায়ই দেখা যায়। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে যোনিতে থাকা ছত্রাক (Candida) বেড়ে গেলে এই সমস্যা হয়।
লক্ষণ:
- চাকা চাকা সাদা স্রাব (দই বা পনিরের মতো)
- যোনির চারপাশে অস্বস্তিকর চুলকানি
- প্রস্রাব বা সহবাসের সময় ব্যথা

ঝুঁকি কী?
যদিও এটি ভয়ানক না, তবে উপেক্ষা করলে যোনিপথে ফোলাভাব বা ক্ষত হতে পারে। এমনকি ভবিষ্যতে গর্ভধারণেও সমস্যা হতে পারে।
করণীয়:
ডাক্তার সাধারণত যোনিতে ব্যবহারের নিরাপদ ওষুধ বা ক্রিম দেন। মুখে খাওয়ার কিছু অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ গর্ভাবস্থায় ক্ষতিকর, তাই নিজে থেকে ওষুধ কিনে খাওয়া একদম বারণ।
সতর্কতা:
- যোনি পরিষ্কার রাখুন, তবে সাবান বা পারফিউমযুক্ত জিনিস পরিহার করুন
- কটন আন্ডারওয়্যার পরুন
- সহবাসের সময় কনডম ব্যবহার করুন
- একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক এড়িয়ে চলুন
যৌনবাহিত রোগ ও যোনি চুলকানি: গর্ভাবস্থায় সতর্ক না হলে বিপদ ডেকে আনতে পারে!
কিছু যৌনবাহিত সংক্রমণ যেমন গনোরিয়া, ক্ল্যামিডিয়া বা ট্রিকোমোনায়াসিস গর্ভবতী নারীদের জন্য ভয়ংকর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এই রোগগুলো অনেক সময় চুলকানির মাধ্যমে প্রথম সংকেত দেয়।
যদি নিরাপত্তাহীন যৌন সম্পর্ক হয়, তবে এই সংক্রমণ শরীরে প্রবেশ করতে পারে এবং তা শুধু মায়েরই নয়, গর্ভের শিশুরও ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই যোনিতে অস্বাভাবিক কোনো পরিবর্তন বা চুলকানি দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া অত্যন্ত জরুরি।

অতিরিক্ত লক্ষণ যা চোখে পড়তে পারে:
- দুর্গন্ধযুক্ত বা অদ্ভুত গন্ধের স্রাব
- সবুজ, হলুদ, লালচে বা ধূসর রঙের স্রাব
- যোনির চারপাশে অস্বস্তিকর ব্যথা বা চুলকানি
- প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা
- যৌনাঙ্গ লাল হয়ে যাওয়া বা জ্বালাপোড়া অনুভব করা

গর্ভাবস্থার সময় যেকোনো ছোট সমস্যাকেও ছোট মনে করবেন না। দ্রুত চিকিৎসা নিলে আপনি ও আপনার শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
FAQs – প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
যোনিতে চুলকানি হলে কী এটি কোনো সংক্রমণের লক্ষণ?
হ্যাঁ, অনেক সময় যোনিতে চুলকানি ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস (যেমন Candida), বা যৌনবাহিত সংক্রমণের কারণে হতে পারে। তবে সব সময় সংক্রমণই একমাত্র কারণ নয়।
কি ধরনের পোশাক যোনি চুলকানির কারণ হতে পারে?
খুব আঁটসাঁট ও সিন্থেটিক কাপড়ের অন্তর্বাস যোনি অঞ্চলে বাতাস চলাচল বাধাগ্রস্ত করে, যার ফলে ঘাম ও আর্দ্রতা তৈরি হয়ে সংক্রমণ বা চুলকানি দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় চুলকানি কি বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর?
না, অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকর নয়। তবে ইনফেকশন untreated থাকলে জটিলতা হতে পারে।
ঘরোয়া উপায়ে পুরোপুরি সেরে যাবে কি?
হালকা ইনফেকশন বা হরমোনাল কারণে হলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে উপকার পাওয়া যায়। তবে নিশ্চিত হতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।
গর্ভাবস্থায় যোনির শুষ্কতা কি চুলকানির কারণ?
হ্যাঁ, যোনি শুষ্ক হলে ঘর্ষণ ও চুলকানি বাড়তে পারে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান ও আর্দ্রতা বজায় রাখা জরুরি।
গর্ভাবস্থায় যৌনমিলনের কারণে কি চুলকানি হয়?
সম্ভব, বিশেষ করে যদি পার্টনারের কাছ থেকে কোনো ইনফেকশন আসে বা ঘর্ষণের কারণে যোনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
যোনিতে চুলকানি একটি সাধারণ কিন্তু অস্বস্তিকর সমস্যা। এটি হরমোনাল পরিবর্তন, ইনফেকশন বা অ্যালার্জির কারণে হতে পারে। তবে ভালো খবর হলো, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি নিরাপদ এবং কিছু ঘরোয়া প্রতিকার ও স্বাস্থ্য সচেতনতায় এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে এর থেকে স্বস্তি পাওয়া যায়। তবে চুলকানির তীব্রতা বেশি হলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।