সহবাসের কতদিন পর বমি হয় বা হলে কি হয় না হয় এইসব নিয়ে অনেকেই জানতে চান। তবে বেশীর ভাগই সঠিক তথ্য জানে না বা সঠিক বিষয়টি জানে না। আজ এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। যাতে আপনারা এটি সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে পারেন মতো।
সহবাসের পর বমি :
সহবাসের পর বমির চিন্তা আসলেই আমরা বেশীর ভাগের মাথায় আসে প্রেগন্যান্সির বিষয়টি। অর্থাৎ সে গর্ভবতী। গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ হিসেবে এই বমিকে প্রথম লক্ষণ হিসেবে মনে করি অনেকে। কিন্তু এটি যেমন ঠিক কিন্তু আবার ভূল ও। কারণ সহবাসের পরপরই তো বমি হয় না। প্রেগন্যান্ট হওয়ার পরেই কিন্তু বমিটা হয়।

সহবাসের পর বমি কি সবসময় গর্ভধারণের লক্ষণ?
না, বমি নানান কারণে হতে পারে। সহবাসের পর বমি হওয়া মানেই গর্ভবতী তা কিন্তু নয়। মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার কারণে বমি হতে পারে। অথবা গ্যাস্টিকের সমস্যা, খালি পেটে সহবাস করলে বা হরমোন গত সমস্যার কারণে ও বমি হতে পারে। তাই শুধু বমির উপর নির্ভর করে গর্ভধারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে না।
গর্ভবতী হলে সহবাসের কতদিন পর বমি হয় ?
সহবাসের করার কিছু দিন পর যদি বমি হয় তাহলে এটিকে অনেকেই গর্ভাবস্থার লক্ষণ হিসেবে ধরে নেন। কিন্তু তা ঠিক হয়। কারণ বমি নানান কারণে হতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি পিরিয়ডের নির্দিষ্ট তারিখ পার হয়ে যায় এবং এর পরে যদি বমি হলে তাহলে সেক্ষেত্রে মোটামুটি বলা যায়। তাও উচিত ঘরে প্রেগন্যান্সি কিট এনে টেস্ট করা।
তবে সাধারণত সহবাস করার ২১ দিন পর বা পিরিয়ডের তারিখ পার হওয়ার ১০/১৫ দিন পর প্রথম বার বমি হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে এটি আরো দেরিতে হতে পারে।

FAQ: সাধারণ জিজ্ঞাসা:
- সহবাসের কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা যায়?
সাধারণত সহবাসের ২১ দিন পর বা পিরিয়ড মিস হওয়ার ৭ দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করলে সবচেয়ে নির্ভুল ফল পাওয়া যায়।
- সহবাসের ২ দিন পর বমি হলে কি সেটা গর্ভাবস্থা?
না, এত দ্রুত গর্ভধারণের লক্ষণ প্রকাশ পায় না। এটা হরমোন বা অন্যান্য শারীরিক কারণে হতে পারে।
- Morning sickness কবে থেকে শুরু হয়?
সাধারণত গর্ভাবস্থার ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম সপ্তাহের মধ্যে এটি শুরু হয় এবং ১২ থেকে ১৪ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে।
সহবাসের কতদিন পর বমি হয় এই প্রশ্নের নির্দিষ্ট উত্তর থাকলেও তা সবার ক্ষেত্রে এক নয়। গর্ভধারণ হলে সাধারণত ৬ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে বমি বা বমির ভাব দেখা যেতে পারে, তবে এটি নির্ভর করে দেহের হরমোন ও মানসিক অবস্থার উপর।
যদি আপনি সহবাসের পর বমি অনুভব করেন এবং পিরিয়ড মিস করেন, তাহলে একটি প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে নিন এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। শরীর ও মনের যত্ন নিন এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।