সন্তান জন্মদানের আগে নানান ধরনের প্রশ্ন মাথায় আসে। গর্ভাবস্থায় কি কি সমস্যা হয়, গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ, গর্ভাবস্থায় সমস্যা ও করনীয় সহ আরো অনেক। তেমনি বাচ্চার ওজন কত হলে নরমাল ডেলিভারি হয় এই বিষয়টি অনেকের মনে আসে। বিশেষ করে শেষ সপ্তাহের আগে আগে এই প্রশ্নটি আসে। তাই আজ এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো যাতে আপনারা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর জানতে পারেন ও সঠিক তথ্য ও পরামর্শ পান।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন:

সাধারণত ৩৭ সপ্তাহের পর গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন ২.৫ কেজি থেকে ৪ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর এটিই স্বাভাবিক ওজন। ২.৫ কেজি থেকে কম হলে তখন হয়তো গর্ভাবস্থায় বাচ্চার গ্রোথ বা বৃদ্ধি সঠিক ভাবে হয় নি। এই রকম হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
আমাদের সন্তানের ওজন নিয়ে আমরা ও চিন্তিত ছিলাম। যেহেতু প্রথম বার তাই এটি আরো বেশী চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে এই সময় চিন্তিত না হয়ে ধিরে সুস্থে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার। আমরা ঠিক মতো ডাক্তারের পরামর্শ নিতাম এবং নির্দেশনা অনুযায়ী চলতাম। আল্লাহর রহমতে সুস্থ ভাবে আমাদের প্রথম সন্তান নরমাল ডেলিভারিতে হয়েছে।
জেনে নিন বাচ্চার ওজন কত হলে নরমাল ডেলিভারি হয়:
নরমাল ডেলিভারির জন্য বাচ্চার ওজন কত হতে হবে সেরকম কোন নির্দিষ্ট ওজন নেয়। সাধারণত গর্ভাবস্থায় ৩৭ সপ্তাহের পর বাচ্চার ওজন ২.৫ কেজি থেকে ৪ কেজির মধ্যে হলেই নরমাল ডেলিভারি হয়। তবে যে রাস্তা দিয়ে বাচ্চা বের হবে সেই রাস্তার তো নির্দিষ্ট একটা ধারণ ক্ষমতা থাকে তাই ৪ কেজির বেশী ওজনের বাচ্চা হলে তখন হয়তো নরমাল ডেলিভারিতে কষ্টকর হয়ে যায়। আর এটি স্বাভাবিক বিষয় ও বটে। তাছাড়া বাচ্চার ওজন ২.৫ কেজি, ৩ কেজি, ৩.৫ কেজি, ৪ কেজি হলে নরমাল ডেলিভারিতে তেমন কোন সমস্যা হয় না। গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন ২.৫ কেজি থেকে ৩ কেজির মধ্যে হলেই সাধারণত নরমাল ডেলিভারি হয়।

বাচ্চার ওজন কত হলে নরমাল ডেলিভারি হয় তা অনেক মা বাবাই জানতে চান। বাচ্চা জন্মদানের ক্ষেত্রে সিজার করতে হলে অনেকেই এটি নিয়ে ভয়ে থাকে। তাই বাচ্চার ওজন এর বিষয়ে অনেকেই দুঃচিন্তায় থাকেন। নরমাল ডেলিভারির বিষয়ে ডাক্তার শাহিদা আক্তার রাখী থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়ে থাকেন আপনারা চাইলে উনার থেকে এইসব বিষয়ে জানতে পারেন।